যেসকল রোগের উপকার করে আমলকী
যেসকল রোগের উপকার করে আমলকী আসলে আমলকীর অনেক উপকার আছে যেগুলো মানব দেহের শরীরে একটি ঔষধদের মত কাজ করে এবং এই আমলকী সম্পর্কে আপনাদেরকে আজকে জানাতে চলেছি যে এটি কিভাবে মানুষের শরীরের রোগ বালাই নিরাময় করে থাকে।
আমলকী প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন চিকিৎসার কাজে ব্যাবহার হয়ে আসছে। বিশেষ করে এটি মানুষের শরীর এর জন্য অনেক কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।এই ফলটি দিয়ে আপনি নানান রোগ বালাই থেকে নিরাময় থাকতে পারবেন যা আজকে এই পোস্ট এ আমরা আলোচনা করবো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সকল রোগের উপকারে আমলকী
- যেসকল রোগের উপকার করে আমলকী
- আমলকী খাওয়ার সঠিক সময়
- প্রতিদিন কতটি আমলকী খাওয়া উচিৎ
- কোন কোন দিন আমলকী খাওয়া যাবে না
- কাঁচা আমলকী খাওয়ার উপকারিতা
- আমলকীর ক্ষতিকর দিক
- শুকনো আমলকী খাওয়ার নিয়ম
- রোগের উপকারে আমলকী সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা
যেসকল রোগের উপকার করে আমলকী
স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে আমলকী ফলের জুড়ি নেই।এছারা পেটের পীড়া সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্য খুবই উপকারি ফল আমলকী। লিভার জন্ডিস রোগে আমলকী ফল কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে। ভিটামিন সি এর অভাবে যেসব রোগ হয় যেমন স্কার্ভি, মেয়েদের লিউকেরিয়া,অর্শ ইত্যাদি রোগের কারণে আমলকী খেলে উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়া ও আমলকী খেলে চুলের জেল্লা গ্রো করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, পেটের গোলযোগ দূর করে, শরীর চাঙ্গা করে এবং হাজার ও রোগের সমস্যার সমাধান করে।
একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম ভিতামিন সি দরকার।তাই দিনে দুইটা
আমলকী খেলে এ পরিমাণ ভিতামিন সি পাওয়া জায়। আমলকী খেলে মুখে রুচি বারে। স্কার্ভি
বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকী ফলের কোন জুড়ি নেই।
আমলকী খাওয়ার সঠিক সময়
দিনের বেলায় আপনি যে কোন সময় আপনি আমলকী ফলটি খেতে পারবেন। তবে বেশি উপকার পেতে চাইলে আপনাকে সকালে খালি পেটে এই ভোজন সেবন করতে পারলে আপনি একজন সুষম দেহের অধিকারী হতে সাহায্য করবে। আমলকীর রস দিয়ে দিন শুরু করলে তা শরীরকে চাজ্ঞা করতে সাহায্য করবে এবং দেহে পুষ্টি যোগাবে।এমনকি ডায়বেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার সহ একাধিক রোগকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন খুব সহজেই।
শীতের সময় এই আমলকী বেশি পরিমাণ পাওয়া যায়। জুস বা অন্য কোনোভাবে খাওয়ার থেকে আমলকী চিবিয়ে খাওয়াই ভাল। প্রতিদিন ১-২টি আমলকী খাওয়া জায়। শুধু শরীর নয়, ত্বক ও চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে এই ফল।অন্তসত্তা বা স্তন্নদাঙ্কারি মায়েরাও আমলকী খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আমলকীর প্রভাবে অ্যালার্জি ও হতে পারে।এ ছাড়াও পাকস্থ্লিীর কৃমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, ও পেটের বেথা হতে পারে।
প্রতিদিন কতটি আমলকী খাওয়া উচিৎ
প্রতিদিন ১-২টি আমলকী খাওয়া দরকার এতে বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন।প্রতিদিন আমলকী খেলে যেসব উপকার হয় তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে আমলকী এতে ভিটামিন সম্পূর্ণ খাবার।
- কোলাজেন উৎপাদন করে ভিটামিন সি কোলাজেন সংশ্লেষণের জন্য অপরিহার্য বিষয়।
- পিগমেন্টেশন ও শরীর এর দাগ কমাতে সাহায্য করে।
- সূর্য থেকে বা সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- প্রদাহ কমে যায়।
কোন কোন দিন আমলকী খাওয়া যাবে না
প্রতিদিন আমলকী খেলে ত্বকের যেসব উপকার হয় যেসব প্রন্থা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
সাধারণত কোন খাবার বা ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন সঠিক নিদিষ্ট দিন নেই। আমলকী একটি প্রাকৃতিক ফল হিসাবে পরিচিত হয়ে থাকে তবে এটা প্রতিদিন খাওয়া উচিৎ সেটা অনেকের মতামত এর ভিত্তিতে বলা যাচ্ছে। তবে কিছু পরিস্থিতিতে আমলকী ফল খাওয়া এড়াতে নিচের কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ হতে পারেঃ
- ১। অ্যালার্জি বা অন্যান্য সমস্যাঃ কোন প্রতিকূল পতিক্রিয়া অ্যালার্জি বা অন্য কোন সমস্যার কারণে আমলকী ফল খাওয়া ঠিক নয়।
- ২। ডায়াবেটিস বা অন্যান্য মেডিকেল কন্ডিশনঃ কিছু মেডিকেল কন্ডিশন প্রতিদিন আমলকী ফল সেবন করা এবং ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এতে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে।
- ৩। মাত্রা সংক্রান্ত বিবেচনাঃ অতিরিক্ত পরিমাণে আমলকী ফল খেয়ে ফেললে এটি আপনার শরীরে ভালো হওয়ার থেকে আরও বেশি খারাপ হতে পারে।
-
৪।পেগনেন্ট অবস্থায়ঃ কিছু মাতৃত্ব পর্যায়ে আমলকী ফল খাওয়া উপযুক্ত নয় এবং বিপদ
বয়ে আসতে পারে।
কাঁচা আমলকী খাওয়ার উপকারিতা
- ১। ভিটামিন সি সরবরাহঃ কাঁচা আমলকীতে ভিটামিন সি সরবরাহ করে থাকে, জা মানুসষের মন কে অস্তথিরতা থেকে মুক্তি দেয় এবং মানসিক ভাবে একজন সুন্দর মনোভাব গঠন করে থাকে।
- ২। প্রিস্তপাত বা ডায়রিয়াঃ কাঁচা আমলকীর পিস্তপাত বা ডায়রিয়ার কথা বলতে গেলে পিস্তপাটের জায়গার মত সমস্যা গুলো দূর করে।
- ৩।সা্বাস্থ্য ত্বক ও চুলঃ কাঁচা আমললকীর প্রিস্তপাত প্রবাহী ক্রিম এ উচ্চ ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুস্তিীগুণ স্বাস্থ্যকর হতে সাহায্য করতে পারে এবং চুলের জন্য উপকার করে।
আমলকীর ক্ষতিকর দিক
আমলকী ফল আপনার শরীর এর জন্য ক্ষতিকর ও হতে পারে তবে আমলকী একটি অতান্ত উপকারি ফল
হিসাবে বিবেচনা করা যায়।তবে কিছু মানুষের জন্য এই ফল খাওয়া থেকে সাবধানতা অবলম্বন
করতে বা খাবার তালিকায় বাদ রাখা ভালো কোন কোন অবস্তায় আমলকী ক্ষতিকর হতে পারেঃ
- ১। অ্যালার্জিঃ কিছু মানুষের এমন অ্যালার্জি হতে পারে যেন তাদের শরীর আমলকীতে প্রতিক্রিয়া করে এবং এটি সেবন তাদের জন্য ক্ষতিকর দিক হতে পারে।
- ২।অনির্মাণঃ কিছু মানুষের জন্য আমলকী সেবনের ফলে পেটে অনির্মাণের সমস্যা দেখা দিতে পারে যা অবশ্যই খেয়াল রাখা দরকার আপনার।
- ৩। অতিরিক্ত এসিডিটিঃ কিছু মানুষের আমলকী ফল অতিরিক্ত সেবনের ফলে এসিডিটির সমস্যায় ভুগতে পারে।
শুকনো আমলকী খাওয়ার নিয়ম
শুকনো আমলকী খাওয়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন নিয়ম নীতি অবলম্বন করতে হবে।তার ভিতরে একটি অন্যতম হল আপনি ভালো ভালো টাটকা কাঁচা আমলকী গুলো বাছাই করে সেগুলো সুন্দর ভাবে পানি দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।তারপর সেগুলো পানি থেকে তুলে নিয়ে শুকনো করে আবার সেইটা রোদে শুঁকিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আমলকী গুলো রোদে আস্তে আস্তে শুকীয়ে যাবে আপনি সেগুলো পরে কাঁচের বৈয়ম এ মজুদ করে রেখে প্রতিদিন একটা দুইটা করে খেতে পারেন।
রোগের উপকারে আমলকী সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা
রোগের উপকারে আমললকীর গুরুত্ব অপরিসীম তা হয়তোবা ইতিমদ্ধ্যেই আপনারা জেনেছেন আমলকী কতটা উপকারে আমলকী খাওয়ার।এই কারণে আমাদের কম বেশি আমাদের আমলকী খাওয়া দরকার।কারণ প্রাকৃতিক সবকিছুই আমাদের অনেক উপকারে আসে যদিও এর কাজ অনেক ধীরে ধীরে হয়ে থাকে তবু ও এই সকল প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর ব্যাবহার দিন দিন বেড়েই জাচ্চে।কারণ এই সকল উপাদানে কোন প্রকার সাইড ইফেক্ট নেই।
তারপর ও এই সকল কিছু উপাদান ব্যাবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ করা উচিৎ আপনার।কারণ সবার শরীর এর কন্ডিষন একরকম নয়।এই কারণে আপনাকে অবশ্যই একজন বিসশেষজ্ঞ ডাক্তার এর আনুগত হওয়াই ভালো হবে।তাহলে আজকে এই পর্যন্তই আশা করছি আপনাকে কিছু জানাতে পারছি আর এই পোস্ট টি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশন এ জানাতে ভুলবেন না।তাহলে সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,নিজের শরীর এর প্রতি যত্ন নিবেন, খোদা হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url