গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী খাদ্য

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী খাদ্য সম্পর্কে আপনি অবশ্যই জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী খাদ্য সম্পরকে।আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন গর্ভবতী মহিলাদের কী কী খাওয়া যাবে না।

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কোন কোন খাবার সবচাইতে বেশি উপকারী খাদ্য সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ১০ মাস বিশেষ কিছু খাবার তালিকায় রাখা উচিৎ যাতে করে কোন সমস্যা ছাড়াই সন্তান প্রসব করতে পারে।তাহলে চলুন জেনে নেই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী খাদ্য। 

 পোস্ট সুূচিপত্রঃ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী খাদ্য যেগুলো

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষন

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষন গুলো নিচে নিম্নরুপঃ

  • স্তন নরম হয়ে যাওয়া
  • মেজাজ চরম পরিবর্তন হওয়া
  • বমি-বমি ভাব বা বমি (প্রভাত কালীন অসুস্থতা)
  • ঘন ঘন প্রসাব হওয়া
  • ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া
  • চরম ক্লান্তি বোধ হওয়া
  • মাথা ব্যাথা করা বুকজ্বালা করা

গর্ভবতী মহিলার জন্য সবচেয়ে উপকারী খাদ্য

গর্ভবতী মহিলার জন্য সবচেয়ে উপকারী খাদ্য হলো? গর্ভাবস্তায় প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন ডিম,মাংস,বিনস,পাঁচমিশালি দাল, নিয়মিত খেলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ভালো হয়।কলা, শুকনো ফল,পুদিনা পাতা সবুজ শাকসবজিতে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড আছে যা গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে সাহায্য করে।সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ মায়ের গর্ভাবস্থায়ই শুরু হয়।

সাধারণত মায়ের গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ২৫% Brain Development ঘটে।তাই গর্ভাবস্থায় মা কি খাবে তার একটা নিদিষ্ট তালিকা আগে থেকে পস্তুত করে রাখতে হবে।আমাদের পরিবেশ ও খাদ্যভাসের পরিবর্তনের কারণে অভিভাবকরা প্রায়ই তাদের বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তিত থাকেন কিভাবে বাচ্চা ভালো এবং সুন্দর দেহের অধিকারী হবে।প্রথমত চিন্তা করতে হবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সুষম খাবার খাওয়া বা মাছ,কলা,দুধ,দিম, ইত্যাদি খাবার খাওয়া দরকার একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য।

গর্ভকালীন অতিরিক্ত তেল-চর্বি যুক্ত বা বেশি পরিমাণ চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া ঠিক নয়। যেমন, ভাজাপোড়া, পরোটা, মিষ্টি কেক, ইত্যাদি খাবার থেকে বিরত থাকাই ভালো।

গর্ভবতী মহিলার কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ

গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে না এটা কারোরই যানা থাকে না। গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ তা নিচে বর্ণনা সহকারে নিম্নরূপঃ

  • কাঁচা পাস্তরণ ছাড়া দুধ এবং ওই দুধ থেকে কোমল পানি শাস্থের জন্য উপকারী।
  • মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া খবার।
  • কাচা ও পুরোপুরি রান্না না হওয়া মাংসজাত পণ্য এড়িয়ে চলতে হবে।
  • কিছু মাছে উচ্চ মাত্রায় পারদ (মার্কারি) থাকে এবং এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

গর্ভাবস্তায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলে অনিরাপদ ও অসাাস্থকর কিছু পাওয়া যায়নি।গর্ভাবস্থায় শরীরে আয়রন ও অমেগা ৩ এ ঘাটতি পূরণ করে থাকে। সেক্ষেত্রে ড্রাগন ফল না খাইতে চাইলে আপনাকে ক্যাপসুল খেতে পরামর্শ করবে নিকটস্থ ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে একই সঙ্গে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।দেহের খারাপ কোলেস্টরল কমানোর মাধ্যমে হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করবে এই ড্রাগন ফল।

ড্রাগন ফল খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ থেকে আক্রান্ত হওয়ার থেকে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।ড্রগণ ফল পচুর পরিমাণ ভিটামিন সি দ্বারা সমৃব্ধ।। এটি ওজন বজায় রাখতে বা হ্রাস করতে ও সাহায্য করে।ড্রাগন ফলের পচুর পরিমাণ এর আঁশ থাকায় রক্তে চর্বি কমায়,হজম কমাতে সাহায্য করে, হৃদপিন্ডের সুসাস্থের জন্য ও অনেক উপকারি কাজ করে এমন কী গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী ফল হচ্ছে ড্রাগন ফল।

গর্ভাবস্তায় বাড়তি ওজন খারাপ

একজন মায়ের সম্পূর্ণ গর্ভকালে ৯ থেকে ১২ কেজি ওজন বৃব্ধি পাওয়া স্বাভাবিক।এর বেশি হলে তা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়।কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মায়েরা ২০ থেকে ৩০ কেজি পরজন্ত ওজন বাড়িয়ে ফেলেন জা প্রসবের সময় বাচ্চা মা উভয়ের জন্য অনেক ঝুঁঁকিপূর্ণ হয়ে যেতে পারে।আর সন্তানধারণের আগে থেকেই যদি আপনি একটু বেশি ওজন এর হয়ে থাকে তবে তা অনেক বেশি পরিমাণ ঝুঁকি হয়ে যেতে পারে একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য সবচেয়ে প্রাধান্য বিসয়।

মায়ের ওজন অনেক বৃব্ধির পরও কখনো কখনো দেখা যায়, গর্ভের সন্তানের ওজন অনেক কম।এর মানে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে শুধু আপনার ওজন বেড়েছে বাচ্চার ওজন ঠিক ভাবে বারেনি।অতিরিক্ত ওজন এর কারনে পায়ে পানি আসা, হাঁস ফাসঁশ করা,কোমর ব্যাথা এবং ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url