গর্ভাবস্থায় সর্দি হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়
গর্ভাবস্থায় সর্দি হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয় আপনি যদি বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল এর মাদ্ধমে জানতে পারবেন।তাহলে চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় সর্দি লাগলে বাচ্চার কি ক্ষতি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় সর্দি হলে অনেক ক্ষতির লক্ষন দেখা যায়। তবে আপনাদের কারোর হয়ত যানা নেই একজন গর্ভবতী নারীর জন্য খুবি দুখের বিষয় ঠাণ্ডা লাগা আর এটি খুব ছোট বিষয় হলে ও এর ক্ষতিকর দিক গুলো খুবি মারাক্তক তাই চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় সর্দি হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়।পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভবস্থায় সর্দি হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয় জানতে ক্লিক করুন
- গর্ভবতী মায়ের সর্দি কাশি হলে করণীয় কি
- গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়
- গর্ভাবস্থায় কাশি বন্ধ করার উপায়
- গর্ভাবস্থায় কোন কাশির সিরাপটি নিরাপদ
- লেখকের শেষ কথা
গর্ভবতী মায়ের সর্দি কাশি হলে করণীয় কি
গর্ভবতী মায়ের সর্দি কাশি হলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বা কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।কারন গর্ভাবস্থায় অনেক ওষুধ সেবন করা খুব একটা নিরাপদ নয় তাই নিচে কিছু সাধারণ করণীয়:
- ১. বিশ্রাম: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং শরীরকে আরাম দিন।
- ২.পর্যাপ্ত পানি পান: শরীরে হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে হালকা গরম পানি পান করতে পারেন, যা সর্দি বা কাশির উপশমে সহায়ক হতে পারে।
- ৩: বাস্প নিন: হালকা গরম পানির বাষ্প নেওয়া জেতে পারে।এতে করে নাক বন্ধ হলে খোলা সহজ হয় এবং নিশ্বাস নেওয়া সহজতর হয় এতে করে।
- ৪: হালকা গরম স্যুপ: চিকেন স্যু্প বা সবজি স্যু্প খাওয়া জেতে পারে যা সর্দি কাশি থেকে একজন গর্ভবতী নারীর জন্য সর্দি লাগা অবস্থায় খুবি উপকারী খাবার হিসাবে কাজ করে।
- ৫: ভিটামিন সি: গলা ব্যাথা বা কাশি কমানোর জন্য ভিটামিন সি সমৃব্ধ খাবার যেমন কমলালেবু, আমলকী খাওয়া জেতে পারে তবে পরিমাণ মত খাওয়া যাবে।
-
৬. ডাক্তারের পরামর্শ: ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে একজন গর্ভাবস্থায় সর্দি হলে বা যে
কোন রোগ বালাই থেকে উদ্ধার এর জন্য একজন গর্ভবতী নারীর ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া
যেকোনো ওষুধ খাওয়া উচিৎ নয়। ওষুধ বা বিশেষ কোনো চিকিৎসা নেওয়ার আগে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ নিন।কিছু কিছু ওষুধ গর্ভাবস্তায় সেবন করা নিরাপদ হলে ও অনেক
ওষুধ ক্ষতিকর হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কোনো রগের লক্ষন দেখা দিলে বিশেষ করে যদি তা দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা অতান্ত জরুরি।গর্ভবস্তায় অনেক মা সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে।সর্দি কাশির রোগ জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে তাই একজন গর্ভবতী মায়ের সন্তান প্রসব এর ঠিক আগ মুহূর্ত পজন্ত খুবি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়
সাধারণত সর্দি লাগলে আদা চা বা গরম পানি পান করলে সর্দি থেকে অনেক শান্তি পাওয়া জায়।কিন্তু ভাইরাস জনিত সর্দি লাগলে গর্ভবতী মায়ের জ্বর হতে পারে। গর্ভকালীন নাক বন্ধ হয়ে গেলে তাকে ডাক্তারদের মতে এটি রাইনাইটিস (Pregnancy rhinites) বলা হয়।গর্ভকালীন একজন মায়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় মা এবং শিশুর জন্য তাই এককথায় বলা যায় যে একজন গর্ভবতী মা এবং অনাগত সন্তান এর জন্য হলে ও আপনাকে সুস্থ স্বাভাবিক থাকাটা অনেক জরুরি।
আরও পড়ুনঃ গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
সাধারণত ২০০ টির বেশি ভাইরাস সর্দির কারন। গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হলে বাচ্চার তেমন কোন ক্ষতি হয় না তবে মায়ের শাস্থের উপড়ে প্রভাব পরতে পারে যা পরে শিশুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু বিষয় মাথায় রাখতে যেমনঃ
- ১. ওষুধের ব্যবহার: গর্ভাবস্থায় কোন ওষুধ সেবন করবেন তা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা উচিত নয়। অনেক ওষুধ বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এ বিষয় এ গর্ভবতী মায়ের খেয়াল রাখা দরকার।
- ২. জ্বর: যদি সর্দি কাশির সাথে উচ্চ মাত্রায় জ্বর থাকে,তবে তা গর্ভের শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
- ৩. সুস্থতা বজায় রাখা: সর্দি কাশি হলে পর্যাপ্ত বিস্রাম,সঠিক পুস্তি,এবং পচুর পানি পান করা প্রয়োজন।
সুতরাং গর্ভাবস্থায় সর্দি কাশি হলে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে যদি কোনো অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় কাশি বন্ধ করার উপায়
গর্ভাবস্থায় কাশি বন্ধ করার করার জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় ও সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন:
- ১. গরম পানিঃ গরম পানি বা ভেষজ চা তুলসি,আদা,লেবু,মধু পান করলে গলা নরম হয় এতে করে কাশি বন্ধ হয়।
- ২. বাস্প গ্রহনঃ গরম পানির বাস্প গ্রহন করলে নাক ও গলার সুরক্ষা হয়, যা কাশি কমাতে সহযোগিতা করবে।
- ৩. মধু ও আদাঃ মধু বা আদা মিশিয়ে খেলে কাশি কমাতে সহায়ক হয়।
- ৪.পচুর পানি পান করাঃ গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের পচুর পানি পান করা দরকার।এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং কাশির তীব্রতা কমায়।
- ৫. বিস্রামঃ পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া কাশি ও অনন্যাও অসস্থি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
সতর্কতাঃ দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর কাশি হলে অবশ্যই ডাক্তার এর পরামরস্শ নিন।কোন ওষুধ গ্রহন করার আগে ডাক্তার এর পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ গর্ভাবস্থায় কিছু ওষুধ ক্ষতি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কোন কাশির সিরাপটি নিরাপদ
গর্ভাবস্থায় ওষুধ বা কাশির সিরাপ নেওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অতান্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ কিছু ওষুধ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ না ও হতে পারে।তবে কিছু সিরাপ সাধারণত গর্ভাবস্থায় নিরাপদ হবে এমন কিছু সিরাপ এর নাম সহ ব্যাখ্যা দেওয়া হলোঃ
- ১. গুয়াইফেনেসিন (guaaifenesin) এটি একটি সাদধারণ কফ সিরাপের উপাদান যা সাধারণত গর্ভাবস্থায় নিরাপদ বলে মনে করা হয়।তবে এৈমাসিকে এটি এড়িয়ে চলাই ভালো।
- ২. Dextromethorphan: এটি কাশি কমানোর উপাদান যা সাধারনত গর্ভাবস্থায় নিরাপদ।
-
৩. হানি-বেসড (Honey-based) সিরাপ: প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর উপরে ভিত্তি করে যেই
কাশির সিরাপ তৈরি যেমন মধু,আদা,লেবু সাধারনত গর্ভাবস্থায় নিরাপদ বলে
বিবেচিত।
সতর্কতাঃ কোন সিরাপ দোকান থেকে কিনার আগে অবশ্যই নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
লেখকের শেষ কথা
আমাদের শেষ মন্তব্যে আমি জোর দিয়ে বলা যায় যে গর্ভাবস্থায় কাশির সিরাপ নেওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।প্রতিটি বাক্তির শারীরিক অবস্তা ভিন্ন হতে পারে এবং কিছু ওষুধ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ না ও হতে পারে।তাই নিরাপদ থাকাই অতান্ত জরুরি।এতকক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।এই ধরণের গুরুত্তপুন্ন এবং তথ্যমূলক বিষয় যানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুণ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url